ই-বুক লিখব কোন টপিকে? ই-বুক লিখে বিক্রি করবো কোথায়? | Techtunes

ইন্টারনেট ইলেক্ট্রনিক্স কম্পিউটার কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জানুন প্রযুক্তি


আসসালামু আলাইকুম। আজকের টিউনে আমরা ই-বুক সম্পর্কে জানব। কোন টপিকে ই-বুক লিখবো? এবং লেখা শেষে এই ই-বুক গুলো কোথায় সেল করব এই বিষয়ে আমরা আজকের এই টিউনটিতে জানব। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক মেইন টপিকে। প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে ই-বুক কী?

ই-বুক কী?

ই-বুক এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক বুক। এটি আমাদের ট্রেডিশনাল বই এর একটি আলাদা রূপ। আমরা যে-রকম বইয়ের লেখাগুলোকে কাগজে পড়ে অভ্যস্ত এটি তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি সাধারণত কাগজ-কলমে লেখা কোন বইয়ের মত নই। মূলত এটি বইয়ের একটি অনলাইন কপি। এটি বইয়ের সম্পূর্ণ আলাদা একটি রূপ এবং এটি ইলেকট্রনিক ফাইল আকারে থাকে। এই ই-বুক গুলো কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিনে পড়তে হয়। এগুলোতে লেখা, ছবি বা দুটোই থাকতে পারে এবং সাধারণ বইয়ের মতো পড়া যায়।

পূর্বে যখন মানুষ ই-বুক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতো না তখন এটিকে শুধুমাত্র কাগজে লেখা বইগুলোর একটি অনলাইন অনুলিপি বলে মনে করতো। কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভুল। তবে বর্তমান সময়ে যেগুলোকে আমরা ই-বুক হিসেবে চিনি সেগুলোতে শুধুমাত্র অনলাইন কপি থাকে, তবে এগুলোর কোন প্র্যাকটিক্যাল কপি থাকেনা। কিন্তু, পূর্বে যে বইগুলো লেখা হতো সেই বইগুলোরই ই-বুক ফাইল তৈরি করে অনলাইনে ছাড়া হতো। এজন্য মানুষ মনে করত যে ই-বুক এবং প্র্যাকটিক্যাল বুক একই।

আমরা যদি এখন ই-বুক লিখতে চাই তাহলে আমাদের মনে প্রথম প্রশ্ন হবে যে এই ই-বুকের টপিক কী হবে? নিশ্চয়ই একটা ই-বুক ২০০ থেকে ৫০০ শব্দের হতে পারে না। এটি নিশ্চয়ই একটি বইয়ের মত আকারের বা শব্দের হতে হবে। এত বড় বিস্তারিত একটি কাহিনি লেখার জন্য নিশ্চয়ই একটি পারফেক্ট টপিক প্রয়োজন। এই টপিক খুঁজা মোটেও সহজ কাজ নই। এজন্য আজকে আমি আপনাদেরকে ই-বুক এর টপিক খোঁজার কিছু সহজ উপায় বলে দেব।

ই-বুক লিখব কোন টপিকে?

ই-বুকে টপিক নির্বাচন করার জন্য প্রধানত আপনাকে ৩ টা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ, নিশ রিসার্চ, প্রোডাক্ট রিসার্চ। এই ৩ টি বিষয়ে আপনি যদি বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হন তাহলে আপনি খুব সহজেই ই-বুকের টপিক নির্বাচন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি এই ৩ টি বিষয়ে কোন ধারণা না রাখেন তাহলে আপনার জন্য ই-বুক এর টপিক নির্বাচনে আমি কয়েকটি উপায় নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

এক্ষেত্রে আপনাকে এভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ই-বুক লেখার চেষ্টা করতে হবে। এই টপিক গুলো নিয়ে যদি আপনি ই-বুক লিখেন তাহলে আপনাকে এক্সট্রা কোন বিষয়ে রিসার্চ করতে হবে না। আপনি যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি ই-বুক সম্পূর্ণ লিখে শেষ করেন তাহলে অটোমেটিক্যালি আপনার ই-বুক টা হবে সর্বোত্তম মানের। এই টপিক গুলো হচ্ছে:

  • ১. অনলাইন থেকে আয়
  • ২. স্কিল ডেভেলপমেন্ট
  • ৩. অনুবাদ
  • ৪. গল্প
  • ৫. উপন্যাস
  • ৬. আত্মউন্নয়ন
  • ৭. ধর্ম শিক্ষা
  • ৮. বাচ্চাদের বই
  • ৯. ব্যবসা
  • ১০. ফ্রিল্যান্সিং
  • ১১. শখ
  • ১২. সায়েন্স ফিকশন
  • ১৩. ইতিহাস

আমি আশাকরি যে আপনি যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি ই-বুক লিখেন তাহলে অবশ্যই আপনার ই-বুক টি হবে সর্বোত্তম মানের।

এরপর যখন আপনি একটি ই-বুক লেখা শেষ করে ফেলবেন, তখন আপনার মনে প্রশ্ন আসবে যে এই ই-বুক টি আপনি এখন কী করবেন? এবং কীভাবে আপনি এই ই-বুক টির মাধ্যমে টাকা আয় করবেন? আপনাকে স্বাভাবিকভাবে ভাবতে হবে যে একটি বইয়ের মাধ্যমে একজন লেখক কীভাবে টাকা আয় করে? নিশ্চয়ই, লেখক সেই বইটি কোথাও না কোথাও সেল করে থাকেন। ঠিক সেভাবেই আপনাকেও আপনার ই-বুক টি কোন একটি মার্কেটপ্লেসে সেল করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে হবে।

ই-বুক কোথায় সেল করবেন?

এই ধরনের ই-বুক গুলো আপনি বেশ কয়েকটি জায়গায় সেল করতে পারবেন। যেমন:

  • ১. সোশ্যাল মিডিয়া
  • ২. মার্কেটপ্লেস
  • ৩. নিজস্ব ওয়েবসাইট
  • ৪. পার্সোনাল স্টোর
  • ৫. ই-মেইল কমিউনিটি
  • ৬. টেলিগ্রাম অথবা হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটি

তো এই ছিল আজকের টিউনে। আশাকরি আমার আজকের এই টিউনে আপনি ই-বুক সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। ই-বুক কী? কোন টপিকে ই-বুক লিখতে হবে? এবং সেই টপিকগুলো আপনি কোথা থেকে কালেক্ট করবেন? এবং কী কী বিষয় সম্পর্কে জানলে আপনি ই-বুক লেখার টপিক সিলেকশনে পারদর্শী হয়ে উঠবেন? এসব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশাকরি আমার আজকের এই টিউনটি আপনার ভালো লেগেছে এবং নতুন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কথা হবে আবারো পরবর্তী নতুন কোন টিউনে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।


#ইবক #লখব #কন #টপক #ইবক #লখ #বকর #করব #কথয #Techtunes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *