ব্ল্যাক হোলের ভেতরে কী রহস্য লুকিয়ে আছে?

প্রযুক্তি


ব্ল্যাক হোল-এ এমন কিছু ব্যাপার আছে যা আমাদের কল্পনাকে উজ্জীবিত করে তোলে। হয়তো সেটটি এই জন্যই যে, ব্ল্যাক হোলের সৃষ্টির জন্য একটি নক্ষত্রকে মৃত্যু বরণ করতেই হয়! ব্ল্যাক হোলে যা যায় তা আর কখনও ফিরতে পারে না। এর কেন্দ্রে তথাকথিত যে অস্তিত্বহীনতা, এটি বিশ্বব্রহ্মান্ডের সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনা।

ব্ল্যাক হোল

আসলে টাইম এবং স্পেস যেভাবে কাজ করে বলে আমরা মনে করি ব্ল্যাকহোলের মধ্যে সেভাবে কাজ করে না। বিষয়টি এরকম হওয়ার কারণ যেটি হোক না কেন এটা বেশ রহস্যজনক। আলবার্ট আইনস্টাইনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাবিশ্বের গতি প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করা হয়।

আমরা বর্তমানে ব্ল্যাকহোল বলতে যেটা বুঝি আইনস্টাইন সেটিকে এত জটিলভাবে কল্পনা করেননি। এর ভেতরের মধ্যে মধ্যাকর্ষণ এত শক্তিশালী যে আলো সহ কোন বস্তু একবার ভেতরে গেলে তা আর ফিরে আসতে পারে না। আইনস্টাইন ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারেননি।

পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব শুধু সম্ভব নয় বরং অনিবার্য। সূর্যের চেয়ে ৩০ গুণ বড় নক্ষত্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ব্ল্যাক হোল তৈরির মত ঘটনা ঘটে। ওই নক্ষত্র বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গিয়ে নিজের মধ্যে ব্ল্যাক হোল তৈরি করে।

এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাক হোল তৈরি হয় যা একটি সাধারণ বিষয় এবং তা অহরহ হচ্ছে। আরেক ধরনের ব্ল্যাক হোল রয়েছে যাকে সুপারম্যাসিভ বলা হয়। সব ছায়াপথের মধ্যেই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

যেসব নক্ষত্র ব্ল্যাক হোল তৈরি করে তাদের আকার সূর্য থেকে অনেক অনেক বড় হতে পারে। পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন অঞ্চলকে বড় হয় ইভেন্ট হরাইজন। এটি ব্ল্যাকহলের সীমানাকে নির্দেশ করে যা এর ভেতর বা বাইরের পরিবেশকে পার্থক্য করে।

কোন বস্তু যখন এর ভেতরে প্রবেশ করে তখন তার ফিরে যেতে পারে না। এটি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত কোথায় যায় সেটা আর জানা যায় না। আসলে এ মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানার এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে আমাদের।


#বলযক #হলর #ভতর #ক #রহসয #লকয় #আছ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *