যে ৭ টি কারণে আপনার এখনই TikTok ব্যবহার বন্ধ করা উচিত! | Techtunes

ইন্টারনেট ইলেক্ট্রনিক্স কম্পিউটার কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জানুন প্রযুক্তি


বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে টিকটক অন্যতম জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। আর এই জনপ্রিয়তার কারণেই অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, প্রতিদিনের ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকাংশ সময়ে তারা টিকটক কন্টেন্ট দেখে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টিকটক মানুষদের অনেক বিনোদন দিলেও এটির কিছু মারাত্মক সমস্যা রয়েছে, যা একজন মানুষের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।

জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদেরকে ছোট দৈর্ঘ্যের মজার সব ভিডিও থেকে শুরু করে ক্রিয়েটিভ অনেক ভিডিও আপলোড করার সুযোগ দেয়। এটি অনেকের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হলেও, কিছু কারণে এটি আমাদের ব্যবহার করা উচিত নয়। তাহলে চলুন এবার টিকটকের এসব গুরুতর সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

১. সময়ের অপচয়

সময়ের অপচয়

টিকটক এমন একটি অ্যাপ যা ব্যবহারকারীদের ছোট, মজাদার এবং আকর্ষণীয় ভিডিও দেখতে উৎসাহিত করে। এই ভিডিওগুলি সাধারণত ১৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে, যা ব্যবহারকারীদের একের পর এক ভিডিও দেখতে প্রলুব্ধ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, টিকটক ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ৫২ মিনিট টিকটকে সময় ব্যয় করে। এমনকি অনেকেই এই সময়ের বেশিও টিকটকে ব্যয় করে থাকে। যেখানে, এই সময়ের পরিমাণ দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেমন পড়াশোনা, কাজ, এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য ব্যবহৃত হতে পারত।

এছাড়াও, টিকটকের অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও সাজেস্ট করে, যা তাদের আরও বেশি সময় ধরে অ্যাপে ধরে রাখে। এই প্রক্রিয়াটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীরা সহজেই সময়ের হিসাব হারিয়ে ফেলে এবং অবচেতনভাবে বেশি সময় ব্যয় করতে থাকে। সময়ের এই অপচয় কর্মজীবন, শিক্ষা জীবন, এবং ব্যক্তিগত স্কিল ডেভলপের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অনেক ব্যবহারকারী জানান, তারা টিকটক ব্যবহার শুরু করার পর থেকে তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পন্ন করার জন্য সময় পাচ্ছেন না। এটি সময় ম্যানেজমেন্টের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং ব্যক্তির প্রোডাক্টিভিটি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে, টিকটক তরুণ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ, তারা এখনও নিজেদের কর্মজীবন এবং ভবিষ্যত গড়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আর যে কারণেই টিকটকের সময়ের অপচয় অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই, টিকটকের সময়ের অপচয় থেকে মুক্ত থাকতে সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. মনোযোগের বিঘ্ন

মনোযোগের বিঘ্ন

টিকটকের দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং চমকপ্রদ কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের মনোযোগের বিঘ্ন ঘটায়। প্রতিটি ভিডিও মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যা ব্যবহারকারীদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, টিকটক ব্যবহারকারীদের মনোযোগের মাত্রা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের তুলনায় কম। ভিডিওগুলি একের পর এক দ্রুত পরিবর্তন হওয়ার কারণে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই এক কনটেন্ট থেকে আরেক কনটেন্টে চলে যায়, যা মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

টিকটকের ক্রমাগত স্ক্রোলিং এবং কনটেন্ট পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ব্যবহারকারীদের ব্রেনের ডোপামিন রিসেপটরকে অ্যাক্টিভ করে। এটি একটি মুহূর্তিক আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে, যা ব্যবহারকারীদের আরও বেশি সময় ধরে অ্যাপে ধরে রাখে। তবে, এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদে মনোযোগের ঘাটতি এবং কাজে ফোকাস করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা তাদেরকে ভবিষ্যতে ক্রিয়েটিভ মানুষ গড়তে বাধার সৃষ্টি করবে।

মনোযোগের বিঘ্নের এই সমস্যা কর্মজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যারা টিকটক ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে অনেকেই এমনটি লক্ষ্য করেছেন যে, তারা তাদের কাজের সময়ে বেশি বিরতি নিচ্ছেন এবং কাজের গতি কমে যাচ্ছে। এর ফলে, কাজের কোয়ালিটি কমে যায় এবং পেশাগত জীবনে তাদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়।

সার্বিকভাবে, টিকটকের মনোযোগের বিঘ্ন একটি গুরুতর সমস্যা যা ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবন এবং কর্মজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, মনোযোগের বিঘ্ন থেকে রক্ষা পেতে এবং আপনার কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এখন থেকেই আপনার TikTok ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।

৩. মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি

মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি

টিকটকের অতিরিক্ত ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। বিশেষ করে এটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা বাড়ায় বলে অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। একজন ব্যবহারকারীর টিকটকে ক্রমাগত কনটেন্ট দেখা এবং অন্যান্যদের সাথে নিজের তুলনা করার কারণে তার মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। এর কারণ হলো, টিকটকে তারা অন্যান্যদের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত দেখে নিজে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে ধারণা করেন এবং এই তুলনা করার প্রক্রিয়াটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়াও, টিকটকের একটি বড় সমস্যা হল এর মধ্যে থাকা নেতিবাচক Comments এবং ট্রলিং। টিকটক ব্যবহারকারীরা প্রায়ই অন্যান্যদের কাছ থেকে অপমানজনক Comments বা কটুক্তির সম্মুখীন হন, যা অনেকের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের নেতিবাচক Comments মানসিক চাপ, তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং উদ্বেগ বাড়াতে পারে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, টিকটক ব্যবহারকারীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা, যেমন: বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের তুলনায় বেশি। আর টিকটকের অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের কে বেশি সময় ধরে রাখার কারণে অনেকের বিশ্রামের ঘাটতি হয় এবং যা তাদের মানসিক চাপ বাড়ায়। যে কারণে, দীর্ঘ সময় ধরে টিকটক ব্যবহারের ফলে মানসিক ক্লান্তি এবং উদ্বেগ বাড়তে পারে।

সমগ্রিকভাবে, টিকটকের অতিরিক্ত ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যা একজন ব্যবহারকারীর উদ্বেগ ও বিষণ্ণতার মত সমস্যাগুলো বাড়িয়ে দেয়। তাই, আপনার এখনই TikTok এর অতিরিক্ত ব্যবহার অথবা একেবারেই টিকটক ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।

৪. ব্যক্তিগত গোপনীয়তার হুমকি

ব্যক্তিগত গোপনীয়তার হুমকি

টিকটক ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যক্তিগত গোপনীয়তার হুমকি এক বড় সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করে এবং সংরক্ষণ করে। টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার করার সময়, এটি আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যার, লোকেশন, ব্রাউজিং হিস্টোরি, এবং অন্যান্য অনেক পার্সোনাল ইনফরমেশন সংগ্রহ করে থাকে। এর ফলে, আপনার পার্সোনাল প্রাইভেসি লঙ্ঘিত হতে পারে এবং আপনার তথ্য থার্ড পার্টির সাথে শেয়ার করা হতে পারে।

টিকটক অ্যাপটির ডেটা প্রাইভেসি পলিসি অনেক সময় অস্পষ্ট থাকে, যা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই জানেন না যে তাদের তথ্য কোথায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অজানা তথ্যের ব্যবহারে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন অনিরাপদ হয়ে উঠতে পারে এবং আপনার অজান্তেই বিভিন্ন বিজ্ঞাপণ ও মার্কেটিং এজেন্সি আপনাকে টার্গেট করতে পারে।

টিকটকের মাধ্যমে সংগৃহীত ইনফরমেশন শুধু ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্যই হুমকি নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও বিপদ হতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের এমন অনেক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স, চীনের মালিকানাধীন এবং তাদের সরকারের সাথে তথ্য শেয়ার করতে পারে। এটি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যে কারণে এসব দেশগুলোতে বিগত সময় গুলোতে টিকটক অনেক বাধা সম্পর্কে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এছাড়াও, টিকটক এর ডেটা কালেকশন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক অভিযোগ উঠেছে, যা অনেকেই অনৈতিক ও অবৈধ বলে বিবেচিত করে।

৫. ভুল তথ্যের প্রচার

ভুল তথ্যের প্রচার

টিকটক প্ল্যাটফর্মে অনেকেই ভুল এবং অসত্য তথ্য প্রচার করে যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। এটি বিশেষভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের প্রচারে ব্যবহৃত হতে পারে এবং এর ফলে সমাজের মধ্যে বিভিন্ন অস্থিতি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

টিকটক প্ল্যাটফর্মটিতে প্রায় সময় এই বিভিন্ন অসত্য ও ভুল তথ্য শেয়ার করার কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়। তাই, নির্ভরযোগ্য তথ্যের উৎস হিসেবে কখনোই টিকটকের তথ্য পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করা যায় না। আর এই কারণে ও আপনি TikTok ব্যবহার করা বাদ দিতে পারেন।

৬. আসক্তির ঝুঁকি

আসক্তির ঝুঁকি

টিকটক একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের অসংখ্য ছোট ছোট ভিডিও দেখার সুবিধা দেয়। তবে, এই সুবিধা এবং আকর্ষণের পেছনে আসক্তির মত একটি বড় ঝুঁকি লুকিয়ে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, টিকটকের অ্যালগরিদম এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে প্ল্যাটফর্মটিতে থাকার প্রবণতা বাড়ে। এটি ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যখন আমরা টিকটকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করি, তখন আমরা বাস্তব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো থেকে দূরে সরে যাই। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে সময়ের সাথে সাথে এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হয় এবং পরে আসক্তিতে রূপ নেয়। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই আসক্তির ঝুঁকি অনেক বেশি দেখা যায়, কারণ তাদের মস্তিষ্ক এখনো সুগঠিত হয়নি এবং তারা সহজেই এটির আসক্তিতে পড়ে যায়।

টিকটক আসক্তির আরও একটি নেতিবাচক দিক হলো এটি আমাদের মনোযোগের ক্ষমতাকে হ্রাস করে দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সংক্ষিপ্ত এসব ভিডিওগুলি আমাদের মনোযোগের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যা শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মজীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে যেসব কাজ মনোযোগ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন পড়ে, সেসব কাজে আমরা পিছিয়ে পড়ি এবং আমাদের কর্মক্ষমতা কমে যায়।

সুতরাং, টিকটকের আসক্তির ঝুঁকি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় রেখে আমাদের উচিত টিকটকের ব্যবহার সীমিত করা এবং অন্যান্য ভালো কার্যকলাপে মনোযোগ দেওয়া, যা আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে উন্নতি সাধন করবে।

৭. ক্রিয়েটিভিটির অভাব

ক্রিয়েটিভিটির অভাব

টিকটক প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের জন্য বিনোদনের একটি প্রধান মাধ্যম হলেও, এখানকার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। টিকটক হলো মূলত এমন একটি ভিডিও কন্টেন্ট প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বেশিরভাগ ভিডিও দ্রুত এবং সহজে ভাইরাল হয়। যার ফলে, ব্যবহারকারীরা প্রায়শই কোন ক্রিয়েটিভিটি ছাড়াই জনপ্রিয় ট্রেন্ড অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করে।

এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে ক্রিয়েটিভিটি বৃদ্ধির পরিবর্তে বরং তাদেরকে অন্যান্য ব্যক্তিদের অনুসরণ করতে শেখায়। কারণ, টিকটকের অ্যালগরিদম সাধারণত সেই কনটেন্টগুলোকে প্রমোট করে, যা ইতিমধ্যে জনপ্রিয়। ফলে, টিকটকের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নতুন ও ইউনিক কনটেন্ট তৈরির আইডিয়া কম আসে। যেখানে তারা ক্রিয়েটিভ এবং উদ্ভাবনী কনটেন্ট তৈরির পরিবর্তে ব্যবহারকারীরা সহজ এবং প্রচলিত ট্রেন্ডগুলির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

টিকটকের সংক্ষিপ্ত ভিডিও ফরম্যাটের কারণে, ব্যবহারকারীরা কোন চিন্তা বা পরিকল্পনা ছাড়াই দ্রুত কনটেন্ট তৈরি করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে, সৃজনশীল কোন কিছু নিয়ে ভাবা এবং ইউনিক বিষয়গুলো নিয়ে কনটেন্ট তৈরির করার মত সৃজনশীলতা তাদের মধ্যে তৈরি হয় না। তাই আমাদের উচিত টিকটকের ব্যবহার সীমিত করে, সৃজনশীল কার্যকলাপে নিজেদের মনোনিবেশ করা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

শেষ কথা

বর্তমানে টিকটক অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির একটি, যা আমাদের জন্য অন্যতম সেরা একটি বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। তবে, এই জনপ্রিয়তার আড়ালে লুকিয়ে আছে বেশ কিছু মারাত্মক সমস্যা যা আমাদের জীবনের জন্য অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

টিকটকের আসক্তির ঝুঁকি, ক্রিয়েটিভিটির অভাব, সময়ের অপচয়, গোপনীয়তার মত হুমকি, মানসিক স্বাস্থ্যের চাপ, নিরাপত্তার অভাব এবং নেতিবাচক সামাজিক প্রভাব। এই ৭ টি কারণে আমাদেরকে অবশ্যই এখন থেকে টিকটক ব্যবহার করার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

তাই, আমাদের উচিত হবে এই ঝুঁকিগুলি বিবেচনায় রেখে টিকটকের ব্যবহার সীমিত করা এবং পরিবর্তে আরও ক্রিয়েটিভ কাজের দিকে মনোনিবেশ করা। আমাদের অবশ্যই এটি মনে রাখতে হবে যে, আমাদের সময় এবং মনোযোগ মূল্যবান। তাই, এগুলোকে শুধুমাত্র এমন সব কাজগুলিতে ব্যয় করা উচিত, যা আমাদের ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। তাই, আমরা চাইলে এখন থেকেই টিকটক ব্যবহার থেকে বিরত থেকে আমাদের জীবনে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি।


#য #৭ #ট #করণ #আপনর #এখনই #TikTok #বযবহর #বনধ #কর #উচত #Techtunes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *