নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হচ্ছে চলতি মাসেই
নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি চলতি মাসেই চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর জন্য ২৭ মে ‘ফাইন টিউনিং’ শীর্ষক কর্মশালা হবে। সেখান থেকে মতামত নেয়ার পর মে মাসেই মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠাবে এনসিটিবি।
নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হচ্ছে চলতি মাসেই। ফাইল ছবি
মহানগর ডেস্ক২ মিনিটে পড়ুন
জানা গেছে, নতুন কারিকুলাম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বদলে যেতে পারে এসএসসি পরীক্ষার নাম
এনসিটিবির চেয়ারম্যান জানান, মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হওয়ার পর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং মূল্যায়নের জন্য নৈপুণ্য অ্যাপস প্রস্তুত করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা ইনভিজিলেশন দেবেন, তাদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
নতুন কারিকুলামের রূপরেখা অনুযায়ী- প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে পাঁচ ঘণ্টার পরীক্ষা!
নতুন পদ্ধতিতে সারা বছরের শিখনকালীন মূল্যায়নের পাশাপাশি ছয় মাস পর একটি এবং ১২ মাস পর আরেকটি সামষ্টিক পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। এসএসসির মূল্যায়ন হবে ৬৫ ভাগ লিখিত ও ৩৫ ভাগ দক্ষতাভিত্তিক। ছয় ঘণ্টার কর্মদিবেসর মধ্যে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বাকি ৫ ঘণ্টায় একদিনে একটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীর কী কী পারদর্শিতা মূল্যায়ন করা হবে, তা পরীক্ষার শুরুতেই শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেয়া হবে। কাগজ, নকশা, গ্রাফ ইত্যাদি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্রে। শিক্ষাবোর্ডই কেন্দ্র ঠিক করবে।
উল্লেখ্য: গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয় নতুন কারিকুলাম। চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে।