আল্লাহ-তাআলা পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির ইচ্ছা করলেন। ফেরেশতাদের জানালেন। তাঁরা বললেন, ‘আমরা তো আপনার প্রশংসা করছি। মানুষ পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা করবে। এর আগে যেমন জিনরা বিশৃঙ্খলা করেছিল।’ মানুষ সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে পৃথিবীতে জিন জাতির বসবাস ছিল। পৃথিবীর সবখানে তারা ফিতনা ছড়াতে থাকে। পরে আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা তাদের পিটিয়ে সমতল ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে সমুদ্রের বিভিন্ন দ্বীপে পাঠিয়ে দেন। (মুসতাদরাকুল হাকিম, হাদিস: ৩,০৩৫)
আল্লাহ মানুষ বানালেন। প্রথমে বানালেন আদম (আ.)-কে। ফেরেশতারা তাঁকে সিজদা করলেন। জান্নাতেই থাকতেন তিনি। একাকী। তাঁর কোনো সঙ্গী বা স্ত্রী ছিল না, যাঁর কাছে তিনি ভালোবাসা পেতে পারেন, কথা বলতে পারেন, একাকিত্ব ঘোচাতে পারেন, প্রশান্তি লাভ করতে পারেন। তিনি চাইতেন, একজন সঙ্গী হোক। কথা বলার মানুষ হোক।
একদিন আদম (আ.) ঘুমিয়ে ছিলেন। জেগে উঠে দেখতে পেলেন, একজন নারী বসে আছেন তাঁর মাথার কাছে। এর আগে তিনি এমন অবয়ব বা মানুষ দেখেননি কোনোদিন। পরিচয় জানতে চাইলেন। তিনি বললেন, ‘আমি নারী।’ জানতে চাইলেন, ‘তোমাকে সৃষ্টির কারণ কী?’ বললেন, ‘আপনার প্রশান্তির জন্য।’
আল্লাহ সুরা নিসার ১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তা থেকে তাঁর স্ত্রী সৃষ্টি করেন, যিনি তাঁদের দুজন থেকে বহু নারী-পুরুষ ছড়িয়ে দেন।’
#পরথম #নর #হওয় #আর #জনম #যভব